HomeServiceContact
Home» রোমান্টিক ভালোবাশার গল্প »সিনিয়র চাচাতো বোন যখন বউ Part~3

সিনিয়র চাচাতো বোন যখন বউ Part~3

Visit now


  • ওকে,,,মাহি আপু আর বৃষ্টি আপুর দিকে আড় চোখে তাকালাম,,, দেখি মুচকি মুচকি হাসছে।।। খাওয়া দাওয়া শেষ করে- আপু এখন যাই।। আপু:ওকে যা ,যদি দেখছি কোন মেয়ের সাথে ট্যাংকি মেরেছিস তাহলে তোর কপালে খারাপ কিছু আছে,,মনে রাখিস।।। ওকে,,, ক্যান্টিন থেকে চলে এলাম বন্ধুরা আগেই চলে গেছে। পাঁচ জন মিলে গাছের নিচে বসে আছে ওখানে গেলাম।। রিয়াল:কি মামা কেমন খেলে ? কেমন করে খাবার খাই, তুই জানিস না।। রিয়াল: না মানে।। ধুর শালা, নীলা: সুলতানা আপু তোকে এতো শাসনে রাখে কারন টা কি?? আব্বু বলেছে তাই।।। বিকেলে বাসায় ফিরলাম।। সবকিছু খুলে ,ঐ খুলা মানে চেন্জ করে বিছানায় শরীরটাকে এলিয়ে দিতে আপু হাজির।। আপু:কিরে কি করিস?? দেখতেই তো পাচ্ছো।। শুয়ে আছি।। আপু: তাহলে চল আজ ঘুরতে যাবো।।। কোথায়,আমি পারবো না শরীরে অনেক ক্লান্ত।। আপু:যাবি না,,, আচ্ছা চলো।।কিসে যাবা হেঁটে,না বাইকে,না রিকশায়।। আপু: কাছেই যেহেতু সেহেতু হেঁটে চল।। আচ্ছা চলো,,, আপু:এই পোশাকে যাবি।। না, এখন বিয়ের পোশাক পরবো।।। আপু: আচ্ছা পর। ধুর বাল,চলো তো ,আর এই পোশাকে কি খারাপ লাগছে।। আপু আমার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বললো- আপু: ভালোই লাগছে।। আচ্ছা চল। হুম, তারপর বের হয়ে গেলাম, দুজন পাশাপাশি হাঁটছি, হাতে হত স্পর্শ করছে।।। কাছেই একটা জায়গায় এলাম জায়গা টা অনেক সুন্দর একবার পার্কের মত। আপু:চল চটপট খাবো।। উুঁয়াক জি এগুলো মানুষে খাই , দেখলেই তো বমি আসতে চাই।। আপু: কেনো,? দেখে তো বাচ্চাদের এর মত লাগে,হা হা হা হা হা।। আপু:কি বললি তুই দাঁড়া,, দিলাম দৌড়। আপু দৌড়াতে লাগলো।।। একটু পর পিছন থেকে কেউ ও মাগো বলে চিৎকার করলো।।। দাড়িয়ে পিছনে তাকালাম, দেখি আপু পা ধরে বসে আছে।।। তাড়াতাড়ি কাছে গেলাম।।।কি হয়েছে তোমার।।দেখি দেখি।। আপু ব্যাথায় কোকাচ্ছে ,, আপুর হাত সরিয়ে দেখি অনেক খানি কেটে গেছে।।। কিভাবে কাটলো , পকেট থেকে রুমাল টা বের করে পায়ে বেঁধে দিলাম।। তখন বারন করলাম খালি পায়ে হেঁটে না ‌।তাও শুনলা না।। আপুর দিকে তাকালাম দেখি এক ধ্যান আমার দিকে তাকিয়ে আছে।। এভাবে কি দেখছো।। আপু: কিছু না,, আপুর হাত ধরে উঠালাম,,চলে এবার।। আপু:আমি হাঁটতে পারবো না।। তো যাবা কিভাবে, তোমাকে তো বাসায় যেতে হবে,সো হাঁটতেই হবে।। আপু:আমি হাঁটতে পারবো না, আমাকে কোলে নিয়ে চল।। এ্যাঁ,, আপু: হুঁ,চল। আমি এত বড় আটার বস্তা কোলে নিয়ে যেতে পারবো না।। আপু:কি বল্লি আমি আটার বস্তা।।পা কেটে আছে তাই কিছু বললাম না, না হলে তোকে দেখাইতাম।।। তাহলে, আপু তুমি থাকো,, আমাকে রাগ দেখাচ্ছো। কিছুক্ষণ পর সন্ধ্যা নামবে ,আর শুনছি সন্ধ্যার পর এখনে ভুত ঘুরেবেড়ায়। তুমি থাকো আমি গেলাম।। আপু:এই শোন না,,আর রাগ দেখবো না।। সত্যি তো,,আর কখনো রাগ দেখাতে পারবে না,বা থাপ্পর মারতে পারবে না।। আপু: ওকে,,, তাহলে চলো, আপু কে কোলে তুলে নিয়ে হাঁটতে লাগলাম।।। আপু আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।।। এভাবে কি দেখছো,,, আপু:কিছু না, তুই হাঁটতে থাক।।। হুম,, আপু: সুযোগ পায় তোকেও দেখাবো,, (মনে মনে) রাস্তার পাশ এসে রিকশা ডাক দিলাম।। রিকশায় উঠিয়ে দিলাম এবং উঠলাম।। তুমি আমার কাঁধে মাথা রাখলে কেনো।। আপু: মাথা টা কেমন করছে তাই।।। আর কিছু বললাম না,,এই মামা ফার্মেসি কাছে থামান তো।। ফার্মেসি থেকে আপুর পা ব্যান্ডেজ করে আবার বাসার দিকে রওনা হলো রিকশা।।। এবার তো নামো,,, আপু: হুঁ, মামা এই নিন রিকশা ভাড়া,,, রিকশা ওয়ালা ভাড়া নিয়ে চলে গেল।। বড়ো আম্মু ঐ বড়ো আম্মু। আপু:আমু কে ডাকিস কেনো? তোমাকে নিয়ে যাবে।।। আপু:আম্মু কে ডাকতে হবে না,, তুই দিয়ে আই।। আর এই আটার বস্তা কোলে নিতে পারবো না,, তখন মনে হচ্ছিল আমার হাত দুটো খুলে পড়ে গেছিল।।। আপু: কুত্তা তুই কি বললি।।। দাঁড়া আমার ও সুযোগ আসবে, তখন তোর কিযে অবস্থা করবো নিজেও জানি না।।।। (রেগে) এ্যাঁ, তখন যে বললা কিছু করবা না।।। আপু: হ্যাঁ চান্দু , ওখান থেকে আসার জন্য তোকে মিথ্যা বলেছি।।। কি,, আপু: হুম। বড়ো আম্মু হাজির,, বড়ো আম্মু:কিরে কি হয়েছে? তোমার এই ডাইনী, প্রেত্নী মেয়েকে নিয়ে যাও।।। আপু:কুত্তা। বড়ো আম্মু: সুলতানা তোর আবার কি হয়েছে,?? তোমার মেয়ে খোঁড়া হয়ে গেছে,, তোমার মেয়েকে কেউ বিয়ে করবো না।। আপু:তাতে তোর কি হয়েছে,,কেউ না বিয়ে করলে তোর গলায় ঝুলবো। আমার খেয়ে দেয়ে কাজ নেই, তোমার মতো মেয়েকে বিয়ে করবো আমি, তোমাকে বিয়ে করলে আমার জীবন তেজপাতা হয়ে যাবে। আপু:আমি তোর গলায় ঝুলবো।।। এ্যাঁ বললেই হলো,,, বড়ো আম্মু:এই তোরা থামবি।। আম্মু:তোরা কি এখনো বাচ্চা আছিস নাকি এভাবে ঝগড়া করছিস।।। আমাদের ঝগড়া শুনে আম্মু ও হাজির।। আম্মু: সুলতানা তোর পায়ে কি হয়েছে ব্যান্ডেজ করা কেন? আপু:কেটে গেছে,,, বড়ো আম্মু: কিভাবে কাটলো?? বলো না, বেশি করে খালি পায়ে হাঁটতে।।। আপু:এই কুত্তা তুই কি থামবি।।। আমি কি তোমার মুখ নিয়ে কথা বলছি।। আপু: ছোট আম্মু তোমার ছেলেকে চুপ করতে বলো না হলে ওকে হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করে দিবো।।। আম্মু:এই সিহাব চুপ করে তো? হেসে হেসে ‌।।।। বড়ো আম্মু:চল রুমে,,, আপু:হুম,, নিয়ে যাও, দশ দিন বের হতে দিবে না।। আপু:তোর কথা বের হতে হবে নাকি।।। আপু চলে গেলো। আমিও বাসায় চলে এলাম।। আমাদের পাশাপাশি বাসা। আম্মু: এভাবে সুলতানার সাথে ঝগড়া করিস কেনো?? আমি আগে ঝগড়া করতে আসি না, আপু আগেই ঝগড়া করতে আসে।। রুমে চলে এলাম,রাতে- ফেসবুকে গেলাম। সাথে সাথে আপুর ম্যাসেজ আসলো- আপু:কিরে কি করিস? এতোক্ষণ মশা মারছিলাম আর এখন এক প্রেত্নী, ডাইনীর সাথে চ্যাট করি।।হা হা হা হা হা হা। আপু:তুই কি বললি, আমাকে সুস্থ হতে দে তারপর তোকে দেখাবো মজা।। এখন যা পারছিস বলে নে, হা হা হা হা হা হা, আপু:হাসিস কেনো? আগামী কাল নানুর বাসায় যাবো, ওখানে এক মাস থাকবো, তুমি কিছু করতে পারবা না , my dear Apu ।।।(ডাহা মিছা কথা হা হা) সিন হলো কিন্তু রিপ্লাই এলো না,, এই আপু কি হলো? কথা বলো।।। সিন হচ্ছে কিন্তু রিপ্লাই দিচ্ছে না।।। হঠাৎ কি হলো বুঝলাম না।। তাই ফোন দিলাম,,, প্রথম বার কেটে গেল।। পাঁচ বার দিলাম পাঁচ বার রিসিভ করলো না,, এবার চিন্তা হতে লাগলো,, কিছু আবার হলো না তো।।। রুমে থেকে বের হলাম, আব্বু: কোথায় যাওয়া হবে এতো রাতে।।। আপুদের বাসায়,,, আব্বু: ওকে যাও।। হুম,,, আপুদের বাসার সামনে এসে কলিং বেল বাজাতে লাগলাম। দুই বার চাপ দিতেই বড়ো আম্মু দরজা খুলে দিল। বড়ো আম্মু:কিরে এতো রাতে।।। এমনি,,আপু কোথায়।। বড়ো আম্মু:কেনো ওর রুমে আছে।। ওহ্,আমি গেলাম।। আপুর রুমের সামনে এলাম। দেখি দরজা খোলা তাই ঢুকে পড়লাম।।।। আমি তো অবাক দেখি বাচ্চাদের মত কান্না করছে আর চোখ মুছতে ছে।।। আপুর সামনে বসে আপু কান্না দেখছি,,আর চোখ কাজল লেভড়ে আছে সেদিকে তাকিয়ে আছি আর মনে মনে হাসছি,,, এখন ঠিক প্রেত্নী গালার মতো লাগছে।।। এভাবে কান্না করছো কেন? আপু: আমার মন হয়েছে তাই।।। খুব ভালো,,, ফোন দিছিলাম রিসিভ করছিলা কনে।।। আপু:এমনি,,, আমি ভাবলাম কি না কি হয়েগেছে তাই আসলাম।।।তুমি কাঁদতে থাকে আর আমি যাই অনেক ঘুম পাচ্ছে।। বিছানা থেকে উঠে পড়লাম। আপু: আমার উপর রাগ করে চলে যাবি।।আর তোকে মারবো না,আর বকবো না।।। কি বলছো, কিছু বুঝতে পারছি না।কে কোথায় যাচ্ছে।।। আপু: তুই যে বললি তুই তোর নানুর বাসায় যাবি একমাসের মতো।।। হা হা হা হা হা হা, তাই বলে তুমি কাঁদছিলা, আর আমি তখন তো মিথ্যা বলেছিলাম।। আপু: কুত্তা তুই, দাঁড়া তোকে তো।।। এর আবার কি হলো, এতোক্ষণ কথা সুন্দর করে কথা বলছিলো,,আর এখন পাগলী কুত্তি গুলোর মধ্যে খেপে উঠলো।।। আপু:তোকে তো আজ আমি হাসপাতালে পাঠিয়ে ছাড়বো,,আমি পাগলী কুত্তি না।। রুম থেকে দিলাম দৌড়, আপু বলল- আপু:এগুলো সুদে আসলে উসুল করবো ,বলে দিলাম।।। বড়ো আম্মু:কিরে এভাবে দৌড়ে এলি কেন? তোমার পাগলী মেয়ে তাড়া করেছিল।। আচ্ছা এখন যাই অনেক ঘুম পাচ্ছে।।। বাসায় এসে ঘুমিয়ে পড়লাম।। পরের দিন সকালে,আজ আপু যেহেতু ডাকতে আসবে না তাই ভাবলাম আজ অনেক টা সময় ধরে ঘুমাবো ।। কিন্তু তা আর হলো না,,,,, ফোনের রিংটোনে ঘুম টা ভেঙ্গে গেল।।। দেখি আপু ফোন করেছে।।। ঘুম ঘুম চোখে রিসিভ করলাম,,,রিসিভ করে বললাম-এতো সকাল সকাল ফোন দিচ্ছ কেন?? আপু: কুত্তা এখন ৮ বাজে ,,, তো কি হইছে,, সকাল তো।।। আপু: আমাদের বাসায় আই।।। কেনো? আপু:তোকে আস্তে বলছি না,(রেগে) ওকে আসছি,, উঠে ব্রাশ করতে করতে আপুদের বাসায় গেলাম।।।মেন দরজা খোলা তাই চলে গেলাম।।। বড়ো আম্মু:কিরে এতো সকালে,, তোমার মেয়ে তো ঘুমের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে ফোন দিয়ে,,আর ফোন করে ডাকলো তাই আসা,,না হলে কে আসতো ।।। বড়ো আম্মু: সুলতানা না ডাকলে তুই আমাদের বাসায় আসবি না।।। আহ্,আমি কি সেটা বললাম, বললাম যে এতো সকালে আসতাম না।।। বড়ো আম্মু:ও আমি ভাবলাম তুই আসতি না।।। আর খেয়ে যাবি আজ বিরিয়ানি রান্না করবো।। কি বিরিয়ানি রান্না করবা।। বড়ো আম্মু:হুম,,, তুমি না বললেও আজ খেয়ে যেতাম।। বড়ো আম্মু: পাগল,, আচ্ছা যা সুলতানা কেনো ডাকছে শুনে আই।।।

  • চলবে…

  • সিনিয়র চাচাতো বোন যখন বউ Part~4

  • 2024 ago 260 views [24-02-24 (16:47)]

    About Author

    admin
    author

    No responses to সিনিয়র চাচাতো বোন যখন বউ Part~3

      Be first Make a comment.

    Leave a Reply

    You must be logged in to post a comment.
    Admin
    Privacy & Policy
    Java Apps
    Back To Top